১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখের দিন গাঁজা সেবন করা আর খারাপ মেয়ে নিয়ে এসে আনন্দ ফূর্তি করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পারায় একটি আম বাগানে বসে গাঁজা সেবন করে তারা। এ সময় সেখানে আম কুড়াতে যায় সাত বছর বয়সী শিশু জুঁই। তাকে দেখে তাদের মনে পাশবিকতা জেগে ওঠে। শিশুটিকে ধরে নিয়ে যায় পাশের কলা বাগানে। এরপর সবাই মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের পর শিশুটিকে তার পড়নের প্যান্ট দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
রোববার দুপুরে পাবনার চাটমোহর থানায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে এক প্রেসব্রিফিং এসব তথ্য জানান থানার ওসি মনজুরুল আলম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বড়াইগ্রাম উপজেলার গড়ফা গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (২৫), আয়নাল হকের ছেলে শেখ সাদি (১৬), দুলাল হোসেনের ছেলে শাকিব (১৬), দিয়ার গাড়ফা গরমাটি গ্রামের শাহীন আলমের ছেলে সিয়াম (১৩) ও চাটমোহর উপজেলার রামপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে আবদুল্লাহ (১৬)।
প্রেসব্রিফিংয়ে চাটমোহর থানার ওসি জানান, গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন বিকেলে শিশু জুঁই তার দাদির বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সেখান থেকে প্রতিবেশীর আমবাগানে আম কুড়াতে যায় সে। সেখান থেকে নজড়ে পড়ে বখানে কিশোরদের। তাকে ভুলিয়ে পার্শ্ববর্তী কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা করে তারা। পরে মরদেহ যাতে কেউ চিনতে না পারে সেজন্য মুখে এসিড জাতীয় পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনই জড়িত।