শিরোনাম:
গাজায় খাবারের অভাবে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ২১ লাখ মানুষ নাটোরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার হবিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত বগুড়ায় কৃষকের ধান কেটে জমি দখলের অভিযোগ গণঅভ্যুত্থানেই পর কাঠামোগত পরিবর্তন বাস্তবায়নই ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য ইডেন আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিলো হামাস চোখের চিকিৎসায় ব্যাংকক গেলেন মির্জা ফখরুল চিকিৎসক সার্জনদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে র‍্যাব সদস্যের মৃত্যু কাপ্তাই লেক রক্ষায় সরকারকে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য উপদেষ্টা
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৩:০৪ অপরাহ্ন

সাতক্ষীরায় ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে সন্তানকে বিক্রি করেছে মা

প্রতিনিধির / ২২ বার
আপডেট : সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

আশামনি খাতুন (২৫) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাঁদাকাটি গ্রামের শামীম হোসেনের চতুর্থ স্ত্রী। সন্তানের সুচিকিৎসা ও দুধ কিনতে না পেরে তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নবজাতক শিশু খাদিজা খাতুনকে নগদ বিশ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন বলে জানান।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আশামনি খাতুনের স্বামী শামীম হোসেন (২৮) আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের সৈয়দ আলী সরদারের ছেলে। পেশায় সে একজন টিউবওয়েল মিস্ত্রী। কখনো কখনো সে ইটভাটায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করে। শামীম হোসেন গত শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর কর্মকারপাড়ায় জনৈক আফসার আলীর বাড়িতে তার পঞ্চম স্ত্রী হোসনেআরা খাতুনকে নিয়ে রাত যাপন করছিলেন। গোপনে বিষয়টি জানতে পারেন আশামনি খাতুন।

এদিকে স্বামীর ৫ম বিয়ের খবর শুনে শুক্রবার ভোরে খোঁজ নিতে ভালুকা চাঁদপুর চলে যান আশামনি খাতুন। সেখানে স্বামী ও তার ৫ম স্ত্রী হোসনে আরার সঙ্গে সাক্ষাৎ মেলে আশামনির। একপর্যায় শামীম ও আশামনির মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও মারামারি শুরু হয়। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে স্বামী-স্ত্রীর মারামারি বন্ধ হলেও সুকৌশলে পালিয়ে যায় ৫ম স্ত্রী হোসনে আরা খাতুন।

আশামনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখে স্থানীয় কুল্যার মোড়ে একটা ক্লিনিকে তিনি দ্বিতীয় সন্তান প্রসব করেন। স্বামী খোঁজ খবর না নেয়ায় ক্লিনিকের খরচ, বাচ্চার ওষুধ ও দুধ কিনতে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একপর্যায়ে নিজের নবজাতক শিশু খাদিজাকে ১৪ দিন বয়সে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে আশাশুনি তেঁতুলিয়া গ্রামের চা বিক্রেতা নিঃসন্তান দম্পতি রবিউল-কাজলের কাছে নগদ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। নিজের সন্তানকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য তিনি একাজ করেছেন বলে জানান।

এ বিষয়ে চা বিক্রেতা রবিউলের স্ত্রী কাজল বলেন, আমরা দরদাম করে কয়েকজন সাক্ষীর সামনে শর্ত দিয়ে টাকার বিনিময়ে বাচ্চাকে কিনে নিয়েছি। বাচ্চার টিকা কার্ডে পিতা-মাতার নামের স্থানে আমার স্বামী ও আমার নাম দিয়েছি। জন্ম নিবন্ধন সনদে তার নাম রাখা হয়েছে ফারিয়া জান্নাতুল। সে এখন থেকে আমাদের পরিচয়ে পরিচিত হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ