বাংলাদেশের জন্য এলএনজি সরবরাহের সম্প্রতি মেয়াদোত্তীর্ণ সমঝোতা স্মারক নবায়ন এবং বাংলাদেশে প্রস্তাবিত স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনালের জন্য কারিগরি কাজ এগিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছে দেশটি। মঙ্গলবার কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শীর্ষ সম্মেলনের ফাকে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করার সময় এই প্রতিশ্রুতি দেন।
কাতার এবং বাংলাদেশ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কাতার গ্যাসের সঙ্গে একটি জিটুজি প্রক্রিয়ায় ১৫ বছরের জন্য ১.৫-২.৫ মেট্রিক টন পেট্রোলিয়াম গ্যাস আমদানির জন্য একটি বিক্রয় ক্রয় চুক্তি (এলএনজি এসপিএ) স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় বার্ষিক চল্লিশটি কার্গো আমদানি করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের জুনে দ্বিতীয় এলএনজি এসপিএ স্বাক্ষরিত হয় ১৫ বছরের জন্য অতিরিক্ত ১.৫ মেট্রিক টন এলএনজি প্রদানের জন্য, যা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এলএনজি এসপিএ সম্পর্কিত স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ জানুয়ারিতে শেষ হয়ে যায়, যার ফলে কাতারি কর্তৃপক্ষ নতুন করে প্রতিশ্রুতি দেয়।
কাতারের প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনই সমঝোতা স্বাক্ষর করব। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব বজায় থাকবে এবং কাতার তার উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে, যার ফলে এলএনজির দাম কমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সাদ বিন শেরিদা আল কাবি বলেন, সরবরাহ নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিই সর্বোত্তম সমাধান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, আমাদের জ্বালানি খাত পুনর্গঠনে কাতারের সহযোগিতা চাই। আমরা আমাদের সম্ভাবনাগুলো অনুসন্ধান করতে চাই কাতারের সহায়তায়।