ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার জানান প্রায় ১৭ বছর আগে তার বিয়ে হয় হায়দার আলীর সঙ্গে। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। স্বামী হায়দার দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে থাকেন। গত নয় মাস আগে দেশে ফিরে কিছুদিন থাকার পর আবার সৌদিতে ফিরে যান। এরপর থেকে শারমিন তার সন্তানদের নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করেন।
সোমবার বিকেলে পারিবারিক কলহের জেরে শারমিনের দুই ভাসুর মঙ্গল মিয়া ও জয়নাল আবেদীনসহ শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা তাকে ঘর থেকে টেনে এনে মারধর করে। পরে বাড়ির উঠানে একটি নারিকেল গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে তাকে নির্যাতন করা হয়। এসময় তার সন্তানদেরও মারধর করা হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে।
তিনি আরও জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার স্বামীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়েছিল যা এখনো ফেরত দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তাকে গালিগালাজ ও মারধর করা হয়। পরে তিনি সদর থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত মঙ্গল মিয়া ও জয়নাল আবেদীনকে গ্রেপ্তার করে।