রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মারা যাওয়া তিন কিশোর ছিলেন সুবিধাবঞ্চিত টোকাই। কুমিল্লাসহ বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে ঘুরে বোতলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কুড়াতেন। নিহত সাইফুল দেবিদ্বার উপজেলা সদরের বানিয়া পাড়া এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে। নিহতদের মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, তিন কিশোর কিভাবে ট্রেনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে কিংবা রেল সড়কে হাঁটার সময় কাটা পড়ে নিহত হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পরিচয় পাওয়া সাইফুলের পরিবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার তার ছেলেসহ অন্যরা বোতল কুড়ানোর কথা বলে কসবা স্টেশনে গিয়েছিল। নিহত সাইফুলের হতদরিদ্র মা-বাবা সেখানে রেলস্টেশন পরিচ্ছন্নতা কাজের পাশাপাশি বোতল কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিহত অপর দুজনের মধ্যে একজনের নাম তুহিন (১৭) বলে জানা গেলেও আরেকজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তুহিনও কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন রেলস্টেশনে বোতল কুড়াতেন। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
দুর্ঘটনার পর সকাল ১০টার দিকের বুড়িচং উপজেলার মাধবপুর রেললাইনের উপরে গিয়ে দেখা গেছে, রেলের স্লিপার ও লাইনের উপর ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। বেশ কয়েক টুকরা টি শার্ট ও দুই জোড়া জুতা পড়ে আছে সেখানে। ঢাকা চট্টগ্রাম রেলপথের বুড়িচংয়ের মাধবপুর এলাকায় ১৬২ নম্বর পিলারের কাছ থেকে সাইফুল ইসলামসহ তিন যুবকের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা ইজিবাইক চালক শাহেদ মিয়া ওরফে সরল শাহেদ জানান, আমি ভোর ছয়টা পাঁচ মিনিটে রেললাইনের পাশে হাঁটতে আসি। এ সময় এসে দেখি একজনের মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে আর দুইজনের পা বিচ্ছিন্ন। যাদের পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে তাদের মধ্যে একজন তখনও জীবিত ছিল সে আমার কাছে পানি চায়। কিন্তু গ্রাম দূরে হওয়ায় সে সময় পানি আনার কোন সুযোগ ছিল না। এর মধ্যেই সে মারা যায়।