সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অতিরিক্ত সংখ্যা নিয়ে এভাবেই বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন মো. সাগর নামে এক চালক। ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার ঘাটারচর এলাকায় বসে কথা হয় তার সঙ্গে। তার বাড়ি থানার আরশিনগর এলাকায়।
সাগর জানান, আগে কাঠমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু সেই কাজে আয় কম হওয়ায় ৭ মাস আগে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। অটোরিকশার মালিককে দৈনিক ৩৬০ টাকা জমা দিতে হয় তাকে। প্রথমদিকে আয় বেশি হলেও এখন অনেক কমে গেছে। কারণ হিসেবে তিনি অটোরিকশার সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন।
ঘটারচরে সাগরের পাশেই অটো নিয়ে বসে ছিলেন মো. রিয়াদ। রিয়াদ অটোরিকশা চালাচ্ছেন ৩ মাস হলো। এর আগে রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার মার্কেটের একটি শোরুমে সেলসম্যানের চাকরি করতেন তিনি। সেই শো-রুম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসার চালাতে অটোরিকশা চালানোর বিকল্প ছিল না তার।
রিয়াদ বলেন, অটোরিকশার সংখ্যা মেলা (অনেক) বাড়ছে। এর জন্য অলিগলি সবখানে জ্যাম লাইগা থাকে। একটা ট্রিপ মারতে মেলা সময় যায়। তাই সেরকম আয় হয় না। তবে অন্য কাজের তুলনায় অটোরিকশা চালানোয় কষ্ট কম।