১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার পর একাধিকবার যুদ্ধেও জড়িয়েছে। ফলে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে উভয় দেশ উল্লেখ করার মতো সামরিক শক্তিও বজায় রেখে চলেছে।
পেহেলগামের ঘটনাকে কেন্দ্রে করে সামরিকভাবেও সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে—এ আশঙ্কা অনেকের। প্রাসঙ্গিকভাবে উভয় দেশের সামরিক সক্ষমতার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসছে। এই সক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে বিশ্লেষণমূলক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়াভিত্তিক ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া।
শুক্রবার ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া তাদের ওয়েবসাইটে ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার সূচক (জিএফপি) ২০২৫ প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, সামগ্রিক র্যাঙ্কিংয়ে ভারত বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ এবং পাকিস্তান বিশ্বে ১২তম।
জনসংখ্যার দিক দিকে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয়। দেশটিতে ১৪০ কোটি মানুষের বসবাস। সক্রিয় সেনা ১৪ লাখ ৬০ হাজার (বিশ্বে দ্বিতীয়)। রিজার্ভ সেনা ১১ লাখ ৬০ হাজার (বিশ্বে সপ্তম)। আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য ২৫ লাখ ৩০ হাজার (বিশ্বে দ্বিতীয়)। মোট সামরিক সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনা এবং আধা সামরিক বাহিনী জনবল ৫১ লাখ।
অন্যদিকে পাকিস্তানের জনসংখ্যা ২৫ কোটি ২০ লাখ (বিশ্বে পঞ্চম)। সক্রিয় সেনা ৬ লাখ ৫৪ হাজার (বিশ্বে সপ্তম)। রিজার্ভ সেনা ৬ লাখ ৫০ হাজার। আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য জিএফপিতে স্পষ্টভাবে পরিমাপ করা হয়নি, তবে উল্লেখযোগ্য (রেঞ্জার্স ও ফ্রন্টিয়ার কোরসহ)। মোট সামরিক শক্তি ১৭ লাখ সক্রিয়, রিজার্ভ ও আধা সামরিক বাহিনী