সারাদেশে একদিনে বজ্রপাতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে কুমিল্লায় দুই উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের দুই উপজেলায় তিনজন এবং নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, চাঁদপুর, খুলনা, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে মারা গেছে।
কুমিল্লার দুই উপজেলায় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুরের মধ্যে বরুড়া ও মুরাদনগর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক ও বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত দুই স্কুলছাত্র হলো- বরুড়া উপজেলার পয়ালগচ্ছ গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে মো. ফাহাদ হোসেন (১৩) ও একই এলাকার বিলাল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জিহাদ (১৪)। তারা বড়হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৮টার দিকে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ও সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর এবং কলমা হাওরে এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের হালালপুর গ্রামের মৃত যতিন্দ্র দাসের ছেলে ইন্দ্রজিত দাস (৩৬), খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের আনেয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ইদ্রিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১৪) ও মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রানিগঞ্জ গ্রামের আশরব আলীর স্ত্রী ফুলেছা বেগম (৬০)।