শিরোনাম:
সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের শাহবাগে বিক্ষোভ শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা নিয়ে ট্রাম্পের মিথ্যা বক্তব্য তুমুল আলোচনায় ভারতে আওয়ামীলীগের তিন সক্রিয় নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজা ইসরাইলি বাহিনীর হামলার মুখে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরবীয় কূটনীতিকরা হবিগঞ্জে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ যুবকের মৃত্যু জয়পুরহাটে তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় উত্তরবঙ্গের সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ চুয়াডাঙ্গায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু উজানের ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে কুড়িগ্রামের ৩০০ হেক্টর ফসলি জমি শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরব আমিরাতের কাছে ৭ উইকেটে হেরে সিরিজ পরাজিত হলো বাংলাদেশ শিক্ষার্থীরা যদি দেশ চালানোর দায়িত্ব নেয় তাদের ক্ষেত্রে দুই একটা ভুলচক হবেই এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৩:৫৭ অপরাহ্ন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাশ আটকে সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা করেছে স্ত্রী সন্তানেরা

প্রতিনিধির / ৩২ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বড় মরাপাগলা গ্রামের সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধীদের জেরে এক ব্যক্তির লাশ দাফন বিলম্বিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মৃত ব্যক্তি মাজেদ বিশ্বাসের মরদেহ দীর্ঘ ২৪ ঘন্টা ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে থাকার পর গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হলে সোমবার সন্ধ্যায় দাফন করা হয়।

মাজেদ বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রীর ১০ সন্তানের মধ্যে তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন। জীবিত সাত সন্তানের মধ্যে চার মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছেন। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর হামফুল বেগম নামের এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। তবে এ সংসারে কোনো সন্তান হয়নি।

ঘটনার সূত্রপাত মাস ছয়েক আগে, যখন মাজেদ বিশ্বাস অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই সময় তার দুই ছেলে পুলিশের উপপরিদর্শক লতিফুর রহমান ও কনস্টেবল আবদুল জাব্বার চিকিৎসার কথা বলে বাবাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে তার ৮ বিঘা জমি নিজেদের ও এক ভাতিজার নামে রেজিস্ট্রি করে নেন। পরে ১৬ এপ্রিল হামফুল বেগমের নামে তালাকনামার একটি উকিল নোটিশ পাঠানো হয়, যা তিনি গ্রহণ করেননি। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন দ্বিতীয় স্ত্রী ও মেয়েরা।

গত রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাজেদ বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। পরে ছেলেরা তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে, দ্বিতীয় স্ত্রী হামফুল বেগম তার স্বজন ও মেয়েদের নিয়ে দাফনে বাধা দেন। এরপর গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করা হয়।

সালিশে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মাস্টার, তিন ইউপি সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি। দীর্ঘ আলোচনার পর মাজেদের দুই ছেলে স্বীকার করেন, তারা প্ররোচনায় সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন এবং সৎ মা হামফুল বেগমকে তালাক দিতে বাবাকে রাজি করিয়েছিলেন। ক্ষমা চাওয়ার পর সিদ্ধান্ত হয়, বাবার সম্পত্তি সকল অংশীদারের মাঝে আইনানুগভাবে সমবণ্টন হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ