পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদী। জেলা শহর থেকে আলাদা করেছে বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলাকে। তিন উপজেলাবাসীর যাতায়াতে একমাত্র ভরসা বগা ফেরি। যুগযুগ ধরে এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। অতীতে জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি। অবশেষে ১৫ লাখ মানুষের স্বপ্নের সেতু বাস্তবায়নের পথে।
মঙ্গলবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কার্যালয়ে সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, উপদেষ্টা আমাদের জানিয়েছেন– সাম্প্রতিক সময়ে চীনা সরকারের প্রতিনিধি দল স্থানীয়ভাবে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করেছেন এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতর ডিপিপি প্রণয়ন কাজ করছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে এটি শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণের জন্য বরিশালের সংশ্লিষ্ট দফতরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবহিত করেছেন। নবম চীন-মৈত্রী সেতু হিসেবে বগা সেতুর কাজ করবে চীন।
সেতুর বিষয়ে এক বছর আগে সংবাদ প্রকাশ করে যমুনা টেলিভিশন। যমুনার সংবাদের তথ্য বলছে, তিন উপজেলার প্রায় ১৫ লাখ মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই সেতু। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের হাজারও যানবাহন চলাচল করে এই পথে। সেতুর অভাবে নিত্যদিনকার ভোগান্তি লক্ষাধিক পথচারীর।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় থেকে ঘাটেই মৃত্যু হয় অনেক রোগীর। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজে বাজারজাত করতে পারে না। শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। এমনকি ব্যাংকিং সেক্টরও অনিরাপত্তায় ভোগে এই সেতুর অভাবে।