ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং সেনাবাহিনীর প্রধান অনিল চৌহানের সঙ্গে বৈঠক করে মোদি এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেওয়া আমাদের জাতীয় অঙ্গীকার এবং তিনি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ওপর সম্পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখেন। সংক্ষিপ্ত ওই বৈঠকে মোদির বাসভবনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সিং ও ক্ষমতাসীন বিজেপির আদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত।
সূত্র জানিয়েছে, ওই বৈঠকে মোদি পেহেলগামে বন্দুক হামলায় ২৬ পর্যটক নিহতের ঘটনায় সস্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামাতে হামলার পর কাশ্মীরের হামলাটি সবচেয়ে বড় ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পুলওয়ামাতে হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসী ক্যাম্পে বিমান হামলা চালায়। ভারত দাবি করে, ওই ক্যাম্পটি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের দ্বারা পরিচালিত ছিল এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের সহযোগিতা করেছে।
পেহেলগামে হামলার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানিদের ভারতীয় ভিসা বাতিল, তবে যেসব পাকিস্তানি হিন্দু দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বসবাস করছে তাদের ক্ষেত্রে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়নি। এছাড়া মেডিকেল ভিসাও বাতিল করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু চুক্তি।
ভিসা বাতিলের পরই অনেক পাকিস্তানি আটারি ওয়াগা সীমান্ত দিয়ে নিজ দেশে চলে গেছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় এক হাজার পাকিস্তানি ভারত ছেড়েছে। এদিকে ভারতের পদক্ষেপের পর পাকিস্তানও ছেড়ে কথা বলেনি। তারাও ভারতীয় ভিসা বাতিল এবং আকাশ সীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে।