বুধবার সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৩ সেন্ট বা ১.২৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৬৩.৪২ ডলারে। অপরদিকে, ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯২ সেন্ট বা ১.৫২ শতাংশ কমে নেমে আসে ৫৯.৫০ ডলারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যার সরাসরি প্রতিফলন পড়ছে জ্বালানি বাজারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল আমদানিকৃত সব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। পাল্টা জবাবে চীনও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক আরোপ করে। দুই বৃহত্তম তেলভোক্তা দেশের এই সংঘাত বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদার সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
রয়টার্স পরিচালিত এক জরিপ অনুযায়ী, ট্রাম্পের নীতির ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি চলতি বছরেই মন্দায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের এপ্রিল মাসের কারখানা কার্যক্রম গত ১৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত হারে সংকুচিত হয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা আস্থা প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এদিকে তেলের দাম কমে যাওয়ার পেছনে সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওপেক ও তাদের মিত্র দেশগুলোর জোট ওপেক+ এর কয়েকটি সদস্য আগামী ৫ মে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে পরপর দ্বিতীয় মাসের মতো উৎপাদন বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে। এতে বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।