বুধবার (৭ মে) মধ্যরাত। ঘড়ির কাঁটা তখন রাত ১টার ঘরে। দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর এবং চিরবৈরি প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ফের সংঘাতের আগুন জ্বলে ওঠে কাশ্মীরের আকাশ এবং স্থলভাগে। ভারত তার কথিত সিন্দুর অভিযান এর নামে সুস্পষ্ট নিশানা করে মূলত ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর এবং পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মধ্যকার সীমান্ত বা নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) সংলগ্ন অঞ্চলকে। এলওসির দু’পারে অবস্থিত সন্দেহভাজন সশস্ত্র গোষ্ঠীর ঘাঁটি ও কাঠামো লক্ষ্য করে ২৫ মিনিট হামলা চালায় নয়াদিল্লি। প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিক পাকিস্তানও চালায় পাল্টা হামলা। তাদের লক্ষ্যও ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও নিয়ন্ত্রণ রেখার সীমান্তবর্তী এলাকা।
ইসলামাবাদ এবং নয়াদিল্লির এমন সংঘাত নতুন নয়। তবে এবার নতুন যেটি, সেটি হলো দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং রাজনৈতিক কর্তা ব্যক্তির মধ্যে প্রকাশ্য দাম্ভিকতা এবং নিজেদের সাফল্য বড় করে দেখানোর প্রতিযোগিতা।
ভারতের সশস্ত্র বাহিনী দাবি করে তাদের সিন্দুর অভিযান শত্রুপক্ষের গভীরে ঢুকে ব্যাপক সাফল্য এনে দিয়েছে। অপরদিকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীও পাল্টা দাবি তোলে ভারতীয় সামরিক কাঠামো ও পোস্ট ধ্বংসে তাদের ‘অভাবনীয় সাফল্যের কথা।