সাক্ষাতকালে হোহেইম নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইউনাস গার স্তোরের পক্ষ থেকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলাদেশ-নরওয়ে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আপনি নরওয়েতে সুপরিচিত। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই আপনার ব্যাপারে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা বলেন। আপনাদের মধ্যে বহু দিনের বন্ধুত্ব রয়েছে।
এসময় অধ্যাপক ইউনূস দুই দেশের মধ্যকার গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা স্মরণ করে বলেন, সংকটকালে নরওয়ে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় আপনাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
হোহেইম বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতি নরওয়ের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার পাশে থাকতে আমরা এখানে এসেছি। আপনার কাঁধে যে দায়িত্ব, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশাও অনেক।
সাম্প্রতিক মাসগুলোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাইয়ের গণআন্দোলনে বহু প্রাণ হারিয়েছে এবং আমাদের অর্থনীতি ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগের সরকার প্রতিবছর আনুমানিক ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচারের সুযোগ করে দিয়েছিল। ঋণগুলোকে উপহার হিসেবে ব্যবহার করা হতো আর আমরা পেয়েছি অগণিত অনাদায়ী বিলের বোঝা।