জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মীর মোশাররফ হোসেন হলে কাজ করতে এসে প্রীতম রায় নামের এক ইন্টারনেট কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন। সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে মীর মোশাররফ হোসেন হলের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে হলের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
নিহত প্রীতম রায়ের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। তার বয়স ২৩ বছর। তিনি মীর মোশাররফ হোসেন হলে ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টারনেটের হয়ে কাজ করতে এসেছিলেন। সাভারের ভাটপাড়া এলাকার একটি বাসায় থাকতেন তিনি।
মীর মশাররফ হোসেন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রাত ১০টার দিকে প্রীতমসহ চারজন কর্মচারী ইন্টারনেট মেরামতের কাজে হলে আসেন। প্রীতম হলের এ-ব্লকের চারতলা ভবনের ছাদে কাজ করছিলেন। বাকিরা হলের অন্যদিকে ছিলেন। একপর্যায়ে প্রীতমের খোঁজ না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তাকে হলের পেছনের অংশে মাটিতে নিস্তেজ অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায়। তারা ধারণা করছেন, প্রীতম ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন।
প্রীতমের সঙ্গে কাজ করতে আসা মো. লিংকন বলেন, কাজ করার সময় তার সঙ্গে ফোনে কথা হয় প্রীতমের। পরে তাকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন ধরেননি। পরে ছাদের যে অংশে কাজ করছিল সে অংশে গিয়ে কল দিলে ভবনের নিচে প্রীতমের মুঠোফোন বাজতে থাকে। নিচে গিয়ে দেখেন মাটিতে পড়ে আছে প্রীতম।