রাজশাহীতে তিন দিনের পৃথক ঘটনায় বিভিন্ন গ্রামে নারী ও শিশু সহ ৮ জন বিষ পান করেছেন বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পৃথক ঘটনা গুলোতে এখন পর্যন্ত ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি। জানা যায় গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বিষ পানে অসুস্থ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন ও দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচজন চিকিৎসা রয়েছেন।
মৃত দুই নারী হলেন- উপজেলার পাইকড়তলী গ্রামের ওয়াশিমের স্ত্রী জান্নাতুন (২৫) ও উপজেলার তেবিলা গ্রামের রন্টুর স্ত্রী তহমিনা (৩০)। এর মধ্যে জান্নাতুন শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে ও শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তহমিনা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রামেক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় দুর্গপুর থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, কীটনাশক পান করা অন্যরা হলেন- দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর গ্রামের ময়না বিবি (৪৫), বেড়া গ্রামের রেজাউলের শিশু সন্তান তানজিমুল (৩), কানপাড়া গ্রামের বিথি (৩০), দেবীপুর গ্রামের মহনা (১৮), পানানগর গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৪৫), কাশেমপুর গ্রামের ইরিন খাতুন (২০), গড়খাই গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে নাহিদ (২৫), বহরমপুর গ্রামের সুজনের স্ত্রী লাবনী (৩০)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানা গেছে, গত তিন দিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কীটনাশক পান করা রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। কয়েকজন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।