২৫ শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সাল। রক্তক্ষরণ আর নৃশংসতার দিন একটি। একটি আধা সামরিক বাহিনীর কলঙ্কের দিন। কিছু বিপথগামী সদস্যের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বলিহয় একটি সুশৃংখল বাহিনী। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কিত পিলখানা ট্রাজেডির ১৬ বছর আজ। এবার এই দিনটিকে ঘোষণা করা হয়েছে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস হিসেবে।
১৬ বছর আগে পিলখানায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডকে বিদ্রোহ বলতে নারাজ শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনরা। তারা জানান, নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের ফল ছিলো পিলখানা হত্যাকাণ্ড। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান’সহ কর্তাব্যক্তিরা এর দায় এড়াতে পারেন না বলে মনে করেন তারা। অভিযোগ করেন, এতদিন শহীদ পরিবারকে অনেক কথাই বলা যায়নি বা বলতে দেয়া হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এ হত্যাকাণ্ড তদন্তে একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠন করা হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের প্রজ্ঞাপনে ২৫ ফ্রেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবসও ঘোষণা করেছে সরকার। এসব পদক্ষেপকে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অনুষঙ্গ হিসেবে দেখতে চান শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনরা।
শহীদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নেহরীন ফেরদৌসী জানান, অনেক প্রশ্ন ছিলো। সেগুলোর উত্তর এখনও জানা হয়নি। পরবর্তীতে আমরা বুঝতে পেরেছি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দেশে বিদেশে যাদেরই পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। যত দিন যাবে এই মামলার প্রমাণোগুলো হারিয়ে যেতে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।