তীব্র গরমে যখন পুড়ছে চারপাশ, তখন হঠাৎই উপকূলে ঘন কুয়াশার দেখা মিলল। এ প্রচণ্ড দাবদাহের মাঝে ১৬ এপ্রিল (রবিবার) সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী।
স্থানীয়রা বলছেন, বৈশাখ মাসে এ ঘন কুয়াশা মানুষকে অবাক করেছে। কুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে শীতের আগাম জানান দিচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি এক ধরনের দুর্যোগ বলা যায়। এ ধরনের তারতম্য মানুষের শরীরের জন্য মোটেই উপযোগী নয়।বেতাগী পৌর শহরেরর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালী গ্রামের বাসিন্দা ৮৫ বছরের বৃদ্ধ পুলিন বিহারী ঢালী বলেন, তিনি বৈশাখ মাসে ঝড়-বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা দেখেছেন। কিন্তু এমন ঘন কুয়াশা এ অঞ্চলে তার চোখে পড়েনি।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, গতকাল শনিবার উপকূলে তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আরো দুই-তিন দিন এ রকম অপরিবর্তিত থাকার আশঙ্কা রয়েছে। গত তিন-চার দিন ধরে উপকূলের তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠা-নামা করছে।এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে যায়। যার ফলে উত্তরের এ জনপদে আবার ফিরে আসে সেই প্রচণ্ড দাবদাহ। এই ভাপসা গরমে অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে রোগীসহ শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্কর বলেন, প্রচণ্ড এই দাবদাহে বেশি পানি পান করতে হবে। রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ চলাচল করা যাবে না। শিশুদের খুবই যত্নে রাখতে হবে, যাতে গরমের ঘাম তাদের শরীরে বসে না যায়। এ ছাড়া শারীরিক অসুবিধা মনে হলেই দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।