শিরোনাম:
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বগুড়ায় মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগ নেতা আটক কসবা সীমান্তে আরো নিরাপত্তা জোরদার দারে নতুন বিওপি স্থাপনা করেছে বিজিবি রাজশাহীতে ইফতার মাহফিলে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত এক কর্মীর মৃত্যু রাজনৈতিক লেজুর বৃত্তির কারণে প্রশ্নবিদ্ধ বিজিএমইর ভূমিকা বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় অটো ভ্যানে থাকা মা ও মেয়ে নিহত চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎপস্টের প্রাণ গেছে একজনের রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি নিয়ে ডিএমপির এক গুচ্ছর নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি ত্রাণ উপদেষ্টার সংবাদ বর্জন করেছেন কুড়িগ্রামের সাংবাদিকেরা
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন

সড়কে ৫১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি

প্রতিনিধির / ৪৬ বার
আপডেট : বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

১৫ বছরে দেশের সড়ক-মহাসড়কে উন্নয়ন প্রকল্পে ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছে টিআইবি। রাজনীতিক-আমলা-ব্যবসায়ী তিন পক্ষের আঁতাতে হয় এসব দুর্নীতি। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ২৯ হাজার কোটি টাকা থেকে ৫১ হাজার কোটি।

আজ বুধবার সকালে ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে, জড়িতদের বিচারের তাগিদ দেয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।

২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সড়ক-মহাসড়কে উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে সাবেক সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর প্রশ্ন-উত্তর পর্বের আয়োজন করে টিআইবি।

২০২৩ সালের জুন থেকে এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সংস্থাটি। সড়ক ও জনপথের ২১টি কর্ম এলাকা থেকে প্রকল্পের ধরন, বরাদ্দ, মেয়াদ এবং শেষ হওয়া ২৫টি প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করা হয়।

বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পের দুর্নীতিতে বিদেশি পক্ষের ব্যর্থতা ও যোগসাজশ স্বাভাবিক-মনে করছে টিআইবি। দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরে জড়িতদের বিচারের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটির।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ দুর্নীতি হয়েছে- এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। যারা অনিয়ম দুর্নীতে জড়িত ছিলেন তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক ও ব্যবসায়িক শক্তিকে ত্রিপক্ষীয় আঁতাত হিসেবে চিহ্নিত করে টিআইবি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি প্রতিরোধে ত্রিপক্ষীয় আঁতাত ভাঙতে হবে। সেটাই আমাদের অন্যতম পরামর্শ। এই খাতে বা অন্য যেকোনো খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে এই ত্রিপক্ষীয় আঁতাত ভাঙতে হবে। এর সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ’

২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দেশে উন্নয়ন হলেও, স্বচ্ছ-দুর্নীতিমুক্ত হলে, রাষ্ট্রের ব্যয় অনেক কমানো যেতো-বলছে টিআইবি। সেইসাথে প্রকল্পের কাজ হতো আরো মানসম্পন্ন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ