তৈরি পোশাকের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হিস্যা এখন ৮ শতাংশ। দীর্ঘদিন ৬ শতাংশের ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছে এ হার। ২০২০ সালে ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। নতুন পথনকশায় আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বিজিএমইএ। তখন বাংলাদেশের হিস্যা দাঁড়াবে ১৪ শতাংশ।
রপ্তানি বাজারে কম চাহিদা এবং দেশে উৎপাদনে সংকটময় পরিস্থিতি সত্ত্বেও বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের হিস্যা বাড়বে বলে আশাবাদী এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান মনে করেন, আগামী বছর শেষে বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানির অন্তত ১২ শতাংশের জোগান দেবে বাংলাদেশ। গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এই আশাবাদ শোনান তিনি। অবশ্য, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার স্বার্থে আগামী শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
বাংলাদেশ এবং পোশাক খাতের ব্র্যান্ডিংয়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর নিজস্ব ভবনে আয়োজিত এতে সংগঠনের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, পরিচালক আব্দুল্লাহিল রাকিবসহ অন্যান্য পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক হাসান বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বর্তমানে প্রধান বাজারগুলোতে পোশাকের চাহিদা কম। রপ্তানি আদেশও পর্যাপ্ত নয়। এর মধ্যে নতুন বাজার এবং ক্রেতারা বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে। সমাপ্ত মেইড ইন বাংলাদেশ উইকেও এ রকম অনেক ক্রেতা ঢাকা এসেছেন, যা রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোক্তাদের আশাবাদী করে তুলেছে।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক রপ্তানিকারক কোনো দেশের রপ্তানিই বাড়েনি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি আদেশ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে- এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। ব্যাংকে এলসি (ঋণপত্র) খোলা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলেও জানান তিনি।