শিক্ষক জিন্নাতুলের কাছে প্রায় চার বছর আগে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুযোগে জিন্নাতুল ওই ছাত্রীর কিছু নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে ধারণ করে রাখা ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ছাত্রীকে বারবার শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। সর্বশেষ গত ১০ অক্টোবর দুপুরে শিক্ষক নিজ বাড়িতে তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করেন। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর ৩১ অক্টোবর বিকেলে শহরের জলেশ্বরীতলার একটি রেস্টুরেন্টে ছাত্রীকে ডেকে নেন জিন্নাতুল। এ সময় তাকে সন্তান নষ্টের জন্য হুমকি দেন এবং মারধর করেন।
ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বগুড়ায় সরকারি আজিজুল হক কলেজের এক সহযোগী অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম জিন্নাতুল ইসলাম প্রামাণিক (৫৩)। তিনি ওই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগে কর্মরত আছেন।
এক ছাত্রীর (২২) অভিযোগের প্রেক্ষিতে শহরের চকসূত্রাপুর রানারসিটি হাউজিংয়ের নিজ বাসা থেকে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া সদর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রী।
আজ বুধবার সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী। তিনি জানান, ওই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের পরেই জিন্নাতুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।