যশোর সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শুভেন্দু কুমার মুন্সি জানান, সভাস্থলে আসার জন্য ১২টি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। জনসভার দিন শহরে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। হেঁটে চলাচল করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার যশোর আসছেন। এদিন সকালে তিনি বিমানবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। বিকেলে যশোর শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দিবেন। করোনার পরে শেখ হাসিনার প্রথম জনসভা এটি। এই জনসভার মধ্য দিয়ে তিনি আগামী নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভাস্থলে যেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১২টি রুট নির্ধারণ করেছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের বাইলেন ব্যবহার। ড্রপিং পয়েন্ট থেকে নির্দিষ্ট রুট দিয়েই যেতে হবে জনসভাস্থলে। সকাল ১০টা থেকে জনসভাস্থলে প্রবেশ করা যাবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারের জনসভায় যোগ দিতে যশোর শহরের নির্ধারিত ড্রপিং পয়েন্ট থেকে পায়ে হেঁটে আসতে হবে। মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা থেকে আসা বাস, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড অথবা কাঁঠালতলায় নেতাকর্মী সমর্থকদের নামিয়ে দেবে। ধর্মতলায় যারা নামবেন তারা ওয়াপদা গ্যারেজ মোড় দিয়ে আপন মোড় হয়ে স্টেডিয়ামের অফিস গেট দিয়ে জনসভাস্থলে প্রবেশ করতে পারবেন। আর কাঁঠালতলা থেকে কাজীপাড়া দিয়ে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বাজার হয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে জনসভাস্থলে যেতে হবে। মাগুরা জেলা ও যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা থেকে আসা যানবাহনগুলো উপশহর এলাকায় নেতাকর্মী সমর্থকদের নামিয়ে দিয়ে উপশহর এলাকায় পার্কিং করবে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে জেল রোড দিয়ে দড়াটানা পার হয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাশ দিয়ে মুসলিম অ্যাকাডেমি পার হয়ে পুরনো পুলিশ অফিস হয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে প্রবেশ কএত পারবেন।
সাতক্ষীরা, বেনাপোল, শার্শা ও ঝিকরগাছা থেকে আসা নেতাকর্মী সমর্থকরা চাঁচড়া মোড়ে ড্রপিং নিয়ে মুজিব সড়ক হয়ে জজকোর্ট মোড় দিয়ে মুসলিম অ্যাকাডেমি পার হয়ে পুরনো পুলিশ অফিসের সামনে দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ গেট হয়ে জনসভাস্থলে যেতে পারবেন। মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা থেকে আসা লোকজনকে ওই একই রুট এবং গেট ব্যবহার করতে হবে। বাগেরহাট ও খুলনা জেলা এবং অভয়নগর উপজেলা থেকে আসা যানবাহনগুলো মণিহার সিনেমা হলের সামনে নেতাকর্মীদের নামিয়ে দেবে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে আরএন রোড হয়ে দড়াটানা দিয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাশ দিয়ে মুসলিম অ্যাকাডেমি পার হয়ে পুরনো পুলিশ অফিস হয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে ঢুকতে পারবেন।
গোপালগঞ্জ ও নড়াইলের নেতাকর্মীদের আনা বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ অন্য যানবাহনগুলো মণিহার সিনেমা হলের সামনে থামবে। তাদের পার্কিং করতে হবে যশোর সরকারি সিটি কলেজ মাঠ, উপজেলা পরিষদ ও পুরনো খুলনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। সেখান থেকে নেতাকর্মীরা পায়ে হেঁটে আরএন রোড দিয়ে দড়াটানা পার হয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাশ দিয়ে মুসলিম অ্যাকাডেমি ও পুরনো পুলিশ অফিস হয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ গেট দিয়ে ঢুকতে পারবেন।
এছাড়া প্রতিমন্ত্রীদের গাড়ি যশোর বাদশাহ ফয়সল ইনস্টিটিউট, পূর্ণ মন্ত্রীদের গাড়ি মুসলিম অ্যাকাডেমি স্কুল মাঠ এবং এমএম কলেজের দক্ষিণ গেট দিয়ে প্রবেশ করে কলেজ মাঠে পার্কিং করতে পারবেন। গাড়ি রেখে তারা স্টেডিয়ামের পেছনের এমএম কলেজের গেট দিয়ে হয়ে জনসভাস্থলে যেতে পারবেন। সংসদ সদস্যদের গাড়ি রাখার জন্য টাউন হল মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, অন্য ভিআইপিদের গাড়ি পার্কিং করতে হবে জিলা স্কুল মাঠে।