ফোল্ডেবল ডিসপ্লের দিকে ঝুঁকছে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। ইতিমধ্যেই ফোল্ডিং স্মার্টফোন বাজারে এনেছে স্যামসং। তাই ফোল্ডিং মোবাইল ফোনের রাজ্যে স্যামসংকে রাজা বলাই যায়।
অ্যাপল অনেক আগে থেকেই কাজ করছে ফোল্ডিং আইফোন নিয়ে। নাম আগেই রাখা হয়ে গেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও এখনও ফোল্ডিং আইফোন বাজারে আনতে পারেনি অ্যাপল। জানা যায়, সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে লঞ্চ হতে পারে আইফোন ফ্লিপ। যার নাম আইফোন এয়ার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এই তথ্য নিশ্চিত করছেন অ্যাপল বিশ্লেষক মিং-চি কুও। যদিও সংস্থার তরফ থেকে এই বিষয়ে এখনো কোনো আলাপ করা হয়নি। তবে ইন্টারনেটে নিয়মিত ফোল্ডিং আইফোন নিয়ে একাধিকতথ্য ফাঁসের দাবি করা হচ্ছে। সেখানে এই ফোনের সম্ভাব্য ফিচার ও স্পেসিফিকেশন জানা সম্ভব হয়েছে। তবে নেট দুনিয়ায় নিয়মিত ফাঁস হচ্ছে নানা রকম তথ্য।
কেমন হতে পারে ফোল্ডিং আইফোন : ফোল্ডেবল ডিসপ্লে ব্যবহার হবে আইফোন ফ্লিপে। এলসিডি অথবা ওএলইডি ভিত্তিক ডিসপ্লে হতে পারে সেটি। ডিসপ্লের আকার সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। এদিকে একই সঙ্গে আরও একটি ফোল্ডেবল আইফোন লঞ্চ করতে পারে অ্যাপল। সেই ফোনে থাকতে পারে ৮ ইঞ্চির ডিসপ্লে। যা প্রায় আইপ্যাড মিনির ডিসপ্লের সমান হতে পারে।
আইফোন ফ্লিপের সম্ভাব্য ডিজাইন : অ্যাপলের ফোল্ডিং আইফোনে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপের মতো ডিজাইন থাকতে পারে। এই ডিজাইন মটো রেজর সিরিজেও দেখা গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই এই ডিজাইনের পেটেন্ট ফাইল করেছে অ্যাপল।এদিকে অ্যাপেলের পক্ষ থেকে এই ফোনের কোনও ছবি প্রকাশ করা না হলেও বিভিন্ন ডিজাইন নিজের কল্পনা ব্যবহার করে আইফোন ফ্লিপের ডিজিটাল রেন্ডার তৈরি করে তা অনলাইনে প্রকাশ করেছেন।
দাম কত হবে : অন্যসব ফোনের চেয়ে আইফোনের দাম বরাবরই বেশি। আইফোন ফ্লিপ এর ক্ষেত্রেও সেই ধারাবাহিকতাই বজায় থাকবে বলে ধারনা করা হয়েছে।এ বিষয়ে গবেষকরা বলছেন, কমপক্ষে ২ হাজার আমেরিকান ডলারে বিক্রি হতে পারে এক একটি আইফোন ফ্লিপ। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় ২ লক্ষ টাকার সমান।