রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:১৫ অপরাহ্ন

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত করবে ডিজিটাল বাণিজ্য আইন’

প্রতিনিধির / ৭৬ বার
আপডেট : বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত করবে ডিজিটাল বাণিজ্য আইন’
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত করবে ডিজিটাল বাণিজ্য আইন’

প্রস্তাবিত ডিজিটাল বাণিজ্য আইন সামগ্রিক প্রেক্ষিত বিবেচনা করে প্রস্তুত করা হয়নি। এই আইন বাস্তবায়িত হলে অতি ক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ জন্য এই আইন পাস না করা বা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা।

আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কার্যালয়ে এক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।প্রস্তাবিত ডিজিটাল বাণিজ্য আইন-২০২৩ নিয়ে সভাটির আয়োজন করে বেসিস ডিজিটাল কমার্স স্থায়ী কমিটি। অনুষ্ঠানে বিডি জবসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এ কে এম ফাহিম মাশরুর বলেন, ‘দেশে অনেকগুলো আইন রয়েছে। যেমন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তা প্রয়োগ করে। সেখানে নতুন এই আইনের কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।’তিনি আরো বলেন, ‘আইনে বলা আছে একজন ক্রেতা এক সঙ্গে প্রয়োজনীয় পাঁচটি পণ্য একসঙ্গে ক্রয় করতে পারবেন। এতে আমাদের বিক্রির ওপর প্রভাব পড়বে। যেমন চাল, ডালসহ নিত্যপণ্য মানুষ অনলাইন থেকে ক্রয় করে, সে ক্ষেত্রে একসঙ্গে অনেকগুলো পণ্য ক্রয় করতে হয়। সে ক্ষেত্রে এই আইন বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’

চালডাল ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা জিয়া আশরাফ বলেন, ‘আমরা যখন শুরু করেছিলাম তখন আমাদের এই ক্ষমতা ছিল না যে আইন পড়ে বুঝে করতে হবে। যত বেশি আইন তত ছোট উদ্যোক্তাদের ওপর জুলুম করা হয়। এই আইনটা আমাদের সাহায্য করবে না, বরং বাধাগ্রস্ত করবে। এ জন্য এটা একটু ভেবেচিন্তে করা উচিত। কারণ আমাদের এই খাত খুবই ছোট। ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের সেক্টর।’তিনি আরো বলেন, ‘বাণিজ্য এবং অনলাইন বাণিজ্যের মধ্যে পার্থক্য কী আছে? এটা একটা নতুন ক্ষেত্র। আমরা রাস্তায় বিক্রি করা বন্ধ করে অনলাইনে বিক্রি করছি। বাণিজ্য আইন আমাদের দেশে সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই আছে। বাণিজ্য আইনেই যথেষ্ট ধারা আছে, নিয়ম আছে। সে ক্ষেত্রে নতুন এই আইনের প্রয়োজন নেই।’

বিক্রয় ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঈশিতা শারমিন বলেন, ‘আমরা যারা ট্যাক্স, ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করছি, এই আইন আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ব্যবসার পরিবেশ আরো একটু সহজ করলে ভালো হতো। বিশেষ করে নতুন বছরে আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে নতুন একটি ধারণা পেলাম, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের। সেই সময়ে এ ধরনের আইন আমাদের অসুবিধা তৈরি করতে পারে। এটাকে আমরা এবং গ্রাহক যেন সুবিধাজনকভাবে নিতে পারি, সবার অধিকার যেন পূরণ হয়, সে ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।’

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহাব উদ্দিন, আই-এক্সপ্রেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. তাজুল ইসলাম, ই-কুরিয়ার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপ্লব ঘোষ রাহুল, ফুডপান্ডার লিগ্যাল এক্সিকিউটিভ মো. শাকিফ আলম প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ