শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

জামালপুরে কবরস্থান থেকে চুরি হচ্ছে কঙ্কাল

প্রতিনিধির / ৬২ বার
আপডেট : বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
জামালপুরে কবরস্থান থেকে চুরি হচ্ছে কঙ্কাল
জামালপুরে কবরস্থান থেকে চুরি হচ্ছে কঙ্কাল

জামালপুরে কবরস্থান থেকে রাতের আঁধারে চুরি হচ্ছে কঙ্কাল। পাহারার ব্যবস্থা করা হলেও তা প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। গত দুই বছরে কবস্থান থেকে চুরি হয়েছে শতাধিক কঙ্কাল। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী।দেড় বছর আগে, জামালপুরের ইদিলপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের বাবা মারা যান। বাড়ির পাশেই কবরস্থানে পিতা আব্দুল আজিজকে সমাহিত করা হয়। কিন্তু এক মাস আগে কবর থেকে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে যায় একটি চক্র।

বুকে কষ্ট চাপা কান্না রেখে আব্দুল হাকিম বলেন, আমার বাবার কবর ছিলো আমার শেষ স্মৃতি। এখন সেই কবরের মরদেহও চুরি হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে আসতাম, দোয়া করতাম। এখন সেটাও করতে পারি না। আমার বাবার মরদেহ যারা চুরি করে নিয়ে গেছে। আমি তাদের বিচার চাই। এই দুঃখ কারে দেখাবো, এই দুঃখ দেখার কেউ নাই।শুধু আব্দুল হাকিমের বাবার নয়, গত এক মাসে এই কবরস্থান থেকে রাতের আধারে চুরি হয়েছে ১২টি কঙ্কাল। আর গত দুই বছরে চুরি হয়েছে শতাধিক।

ইদিলপুর গ্রামের আরেক বাসিন্দা সেকান্দর আলী বলেন, দুইটা বছর ধরে দেখছি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটছে। এক মাসে ১২টা মরদেহ নিয়েছে চুরি কইরে। এটার কোনো বিচার কোনো খানে পাইতাছি না। আমরা কাকে বলবো?কবরস্থানে পাহারা দিয়েও কোনো সুফল পাচ্ছেন না গ্রামবাসী।

আরেক বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের এই গোরস্থান থেকে মরদেহ চুরি হয় অনেকদিন যাবত। আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি মরদেহ চুরির জন্য। মরার পর যদি মরদেহ চুরি হয়ে যায়। তাহলে তো মরাও পাপ।কবরস্থানের পাশে বসবাসকারী গোলাম আলী বলেন, আমরা চোর ধরতে পারছি না। এই কারণে আমরা মামলা দিতে পারছি না। এখন যদি পুলিশে উদ্যোগ নেয় তাহলে আমরা পুলিশের সঙ্গে থাকবো।

বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে গ্রামবাসী আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। তবুও আমার অফিসার দ্বারা এবং আমি নিজেও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করবো। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করবো।ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন পরষিদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি হয়ে যায়। এটা আজকে নতুন না। প্রায়ই এইগুলাে হয়। এটার সাথে বড় একটি সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। আমি মনে করি, এটা থেকে যদি আমরা উত্তরণ হতে চাই তাহলে অবশ্যই সামাজিক বন্ধন লাগবে। সামাজিকভাবে এটা থেকে উত্তরণ হওয়া সম্ভব।প্রায় শত বছর আগে ৯০ শতাংশ জমির ওপর কবরস্থানটি নির্মাণ করে ইদিলপুর গ্রামবাসী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ