সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন

মানুষের হাতে নগদ অর্থ ধরে রাখার প্রবণতা বাড়তে

প্রতিনিধির / ৭১ বার
আপডেট : শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
মানুষের হাতে নগদ অর্থ ধরে রাখার প্রবণতা বাড়তে
মানুষের হাতে নগদ অর্থ ধরে রাখার প্রবণতা বাড়তে

দেশে সাধারণ মানুষের হাতে নগদ অর্থ ধরে রাখার প্রবণতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা, মোবাইল ব্যাংকিং বা কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনে উত্সাহিত করার নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরেও এ ধরনের চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে। গত এক বছরে ব্যাংক খাতের বাইরে মুদ্রার প্রবাহ বেড়েছে ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। এর ফলে উদ্বৃত্ত তারল্য কমেছে ব্যাংক খাতের। এর বাইরে নগদ অর্থ বেড়ে যাচ্ছে।

ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা বলেন, কোভিড মহামারির সময় থেকে নগদ অর্থ হাতে রাখার প্রবণতা বেড়েছিল। কারণ সেসময় মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছিল, তাই প্রয়োজনীয় অর্থ রেখেছে। তবে মহামারি চলে গেলেও নগদ অর্থ ঘরে রাখার প্রবণতা কমছে না।বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সাল শেষে ব্যাংক খাতের বাইরে বা মানুষের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ১৮১ কোটি টাকায়, যা ২০২১ সাল শেষে ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মানুষের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৫৭ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা বা ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। ২০২২ সালের নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে বেড়েছে ৬ দশমিক শূন্য দশমিক ১ শতাংশ।

অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি ও ব্যাংক খাতের নেতিবাচক খবরের কারণে মানুষের হাতে নগদ অর্থ বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে সাধারণ মানুষ আগের চেয়ে বেশি নগদ অর্থ ব্যয় করছে। তাই মানুষ বেশি টাকা হাতে রাখছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০১৯ সাল শেষে ব্যাংক খাতের বাইরে নগদ অর্থ ছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা, যা ২০২০ সাল শেষে বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। অর্থাত্ ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে নগদ অর্থের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে এ বৃদ্ধির হার ছিল ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। ২০২১ সাল শেষে ব্যাংক খাতের বাইরে মানুষের হাতে নগদ অর্থ ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ব্যাংক খাতে ২০২২ সালে আমানতের প্রবৃদ্ধিও কমেছে। গত বছর আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১ শতাংশ। ফলে যে আমানত জমা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি ঋণ যাচ্ছে। ২০২১ সাল শেষে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ২১ শতাংশ। আর ২০২০ সালে এ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এদিকে আমানতের প্রবৃদ্ধি কম হওয়ায় ব্যাংকগুলোয় নগদ তারল্য কমে গেছে। এক বছরের ব্যবধানে উদ্বৃত্ত তারল্য কমেছে ৬৫ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ