কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মৌসুমি খাতুন (২৯) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদকী ইউনিয়নের রায়পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।নিহত মৌসুমি খাতুন উপজেলার সদকী ইউনিয়নের রায়পাড়া গ্রামের প্রবাসী মাসুদ রানার স্ত্রী।তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের দাবি।
এলাকাবাসী জানায়, মাসুদ রানার সঙ্গে মৌসুমির ১১ বছরের সংসার। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। মাসুদ ৮ বছর কাতারে গেছেন। সংসার আলাদা হলেও মাসুদ প্রবাসে থেকে যে অর্থ উপার্জন করেন তার সিংহভাগ মাকে পাঠাতেন। যে কারণে মৌসুমির সঙ্গে তার শাশুড়ির মাঝে মধ্যেই ঝগড়াঝাটি হতো। হয়তো এ কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।মৌসুমির শাশুড়ি জহুরা খাতুন জানান, তাদের আলাদা সংসার। গন্ডগোল হবার তেমন কোনো কারণ নেই। রাত দুইটার দিকে সেহরি প্রস্তুতের জন্য তিনি মৌসুমিকে ডাকাডাকির এক পর্যায়ে ৮ বছরের নাতি ছেলে মুন্না দরজা খুলে দেয়। সে সময় তিনি মৌসুমিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করলে আশেপাশের সবাই এসে রশি কেটে তার মরদেহ নামায়।
মৌসুমির মা সেলিনা খাতুন জানান, তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো। তার মেয়ে আত্মহত্যা করে নাই, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।কুমারখালী থানার ওসি মো. মহসীন হোসাইন জানান, গৃহবধূর মরদেহ তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। আইনী প্রক্রিয়া চলছে।