কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের পতন ঠেকানো যাচ্ছে না। শুক্রবার (৫ মে) দেশটির মুদ্রার মূল্যমান আরও কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।এতে জানানো হয়, গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের চাকরি হয়েছে। এছাড়া অর্থনীতিবিদদের অনুমানের চেয়ে শ্রমিকদের মজুরি বেশি বেড়েছে। ফলে কার্যদিবসের শুরুতে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পায়। কিন্তু দিন শেষে সেই অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রাটি।
কর্মদিবসের সূচনাতে ডলার সূচক বেড়ে ১০১ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ অবমূল্যায়ন ঘটে। এদিন শেষ ভাগে তা স্থির হয় ১০১ দশমিক ১৯ পয়েন্টে। আগের দিনও (বৃহস্পতিবার) পয়েন্ট হারিয়েছিল ইউএস মুদ্রা।এ প্রেক্ষাপটে ইউরোর অবনমন ঘটেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মুদ্রাটির দর নিষ্পত্তি হয়েছে ১ দশমিক ০৯৬৭ ডলারে। তবে এর আগে প্রধান বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয় ইউরো। যার দাম দাঁড়ায় ১ দশমিক ১০২৬ ডলারে।
জাপানের মুদ্রার বিপরীতেও গ্রিনব্যাকের দরপতন ঘটেছে। যে হার শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রতি ডলারের বিনিময় হার দাঁড়িয়েছে ১৩৪ দশমিক ৭৯ ইয়েনে।
গত মাসে মার্কিন মুলুকে ২ লাখ ৫৩ হাজার জনের চাকরি হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার জন। সেখানে ঘণ্টায় গড় আয় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বার্ষিক হারে বেড়েছে। যেটা বৃদ্ধির আভাস ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশনিউইয়র্ক ভিত্তিক ইউবিএসের মুদ্রা কৌশলবিদ ভাসিলি সেরেব্রিয়াকোভ বলেন, মূলত এদিন ইউএস কর্মসংস্থান বৃদ্ধির খবর প্রকাশ্যে আসার পর ডলারের দর ঊর্ধ্বমুখী হয়। তবে বিনিয়োগকারীরা মনে করেছিলেন, ডলারের দরপতন ঘটতে পারে। শেষমেষ সেটাই হয়েছে। কারণ, মার্চে কর্মসংস্থান নিম্নমুখী হয়েছে।