বৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা কমে এসেছে; তবুও ঘাটতি দেশজুড়ে, লোড শেডিং দিয়ে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে বিতরণকারী কোম্পানি
দেশজুড়ে ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে আবার ভুগতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ঢাকার পল্টনের একটি বিপণিবিতানে মোবাইল ফোনের বিক্রয়কেন্দ্রে মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে অন্ধকার দূর করার চেষ্টা।
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে দুইদিন এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকার সময়ে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের সরবরাহ সংকটের তীব্রতা আরেকবার টের পাওয়া গেছে; ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোড শেডিংয়ে তীব্র গরমে যেমন ভুগতে হয়েছে, গ্যাসের অভাবে রান্নার সূচিও হয়েছে এলোমেলো।
টানা তাপদাহের মধ্যে বিদ্যুৎতের যাওয়া আসায় জনজীবনে নিদারুণ দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে গেছে কয়েকটা দিন। বিদ্যুতের পাশাপাশি গ্যাস না থাকা ও চাপ স্বল্পতায় শিল্প কারখানায় উৎপাদনও হয়েছে বিঘ্নিত। সিএনজির জন্যও ফিলিং স্টেশনে অপেক্ষার প্রহর হয়েছে দীর্ঘ।
মাত্র দুই দিন সাগরে থাকা ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে বন্ধ রাখতে হয়েছিল অনেক গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আগে থেকেই গ্যাসের স্বল্পতা, কয়লার অভাব ও সাশ্রয়ী নীতির কারণে ডিজেলচালিত কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
এরমধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রস্তুতি হিসেবে এলএনজি টার্মিনাল দুটি বন্ধ রাখা হয়। এতে সংকট হয়ে ওঠে তীব্র। চট্টগ্রাম নগরীতে বাসাবাড়িতে চুলা জ্বলেনি, অচল হয়েছে অনেক কলকারাখানা। এর প্রভাব পড়ে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও।
শনি ও রোববারের বিরতির পর সোমবার পুনঃরায় এলএনজি সরবরাহ শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাস সংকটও কিছুটা কমে আসছে। ঝড়বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে আসায় বিদ্যুতের চাহিদা কমে এসেছে।
ফলে বুধবারের পরিস্থিতি হচ্ছে, উৎপাদন না বাড়িয়েও লোড শেডিংয়ের তীব্রতাও কমিয়ে আনা গেছে।
পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) কামরুজ্জামান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সচলের মাধ্যমে গ্যাস সংকট অনেকটাই কেটে গেছে। আগে দুটি টার্মিনাল থেকে ৭০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হলেও এখন একটি থেকেই দিনে ৫৫০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
এর মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল করতে প্রায় ৩০০ এমএমসিএফডি গ্যাস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাকি গ্যাস যাচ্ছে শিল্প ও অন্যান্য গ্রাহকের চাহিদা পূরণে বলে জানান তিনি।