কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন, শেষ সময়ে জমে উঠেছে দক্ষিণের জেলা ঝালকাঠির পশুরহাটগুলো। স্থানীয় খামারে পালিত গরু, ছাগল ও মহিষ বিক্রি হচ্ছে হাটগুলোতে। এসব হাটে এখনো ভারতীয় গরু ওঠেনি, তাই পশুর দাম চড়া বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির কারণে গবাদি পশুর দাম বেশি।
যতদামই হোক শেষ মুহূর্তে পছন্দের গরু কিংবা ছাগল কিনতে ব্যস্ত ক্রেতরা।জানা যায়, ঝালকাঠির চারটি উপজেলায় এবছর অর্ধশতাধিক স্থানে বসেছে কোরবানির পশুরহাট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখর পশুর হাটগুলো। সব চেয়ে বড় পশুরহাট বসেছে ঝালকাঠির সুগন্দিয়া, জেলা পরিষদের সামনে, গাবখান, কীর্তিপাশা মোড়, বাউকাঠি, নলছিটির চায়না মাঠ, বিকপাশা ও রাজাপুরের বাঘরি এলাকায়।
এসব হাটে পর্যাপ্ত গরু, ছাগল ও মহিষ উঠেছে, বেচাকেনাও চলছে পুরো দমে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, বিগত বছর গুলোর চেয়ে এ বছর তুলনামূলকভাবে পশুর দাম অনেক বেশি। হাটগুলোতে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ টাকামূল্যের গরু উঠেছে। গরু নিয়ে দরকষাকষিতে ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা।বাজারগুলোতে স্থানীয় খামারের বিষমুক্ত গরুর সমাহার। ভারতীয় গরু না থাকায় বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর গরুর দাম অনেক বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। তবে গরুর দাম যাই হোক ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
নলছিটি শহরের ব্যবসায়ী শাহিন ফকির বলেন, আগে যে গরু এক লাখ টাকায় কিনেছি, এখন তা দেড় লাখেও পাওয়া যাচ্ছে না। তবু কোরবানি দিতে হবে, তাই বেশি দাম হলেও শেষ মুহূর্তে কিনতে হবে।ঝালকাঠি শহরের মিজানুর রহমান বলেন, গরুরহাটে ক্রেতারা এসে হতাশায় ভুগছে। এ বছর গরুর দ্বিগুণ দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা।গরু বিক্রেতা শহিদ হাওলাদার বলেন, গরুর পরিচর্যা এবং খাবারে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। যে দামে গরু বিক্রি হওয়ার কথা, তা বলছেন না ক্রেতারা। বেশিরভাগ ক্রেতাই কম দামে গরু কিনতে চায়। তাই ছোট গরুর চাহিদা বেশি।
বিক্রেতা উজ্জল ঘোষ বলেন, আমার খামারে একটি গরু মোটাতাজা করেছি। নাম রেখেছি ‘রাজা বাবু’। সাড়ে তিন লাখ টাকায় এই গরু বিক্রি করতে চাই, কিন্তু ক্রেতারা দাম বলছে না।ঝালকাঠি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ছাহেব আলী বলেন, কোরবানি উপলক্ষে ঝালকাঠি জেলায় ২২ হাজার গবাদিপশু মোটাতাজা করণ করা হয়েছে। যা পশুরহাটে বিক্রি করা হচ্ছে। হাটগুলোতে ১৩টি ভেটেনারি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। অনলাইনেও গরু বেচা কেনা চলছে বলেও জানান তিনি।