সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটারদের রীতিমতো নাস্তানাবুদ করেছেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচের একাদশ ওভারে বোলিংয়ে এসে ভারতীয়দের দুই ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন তারকা এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত থেমেছেন পাঁচ উইকেট নিয়ে। আর তাতে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন গুড়িয়ে গেছে ১৮৬ রানে।এর আগে মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে রবিবার (১২ নভেম্বর) ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব-এবাদতদের তোপে ৪১.২ ওভারে ১৮৬ রানে অল আউট হয়েছে শক্তিশালী ভারত।
দলীয় ২২ রানে ভারতের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার শিকার হন শেখর ধাওয়ান (৭)। এরপর সাকিবের ঘূর্ণিতে ফিরেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা।ব্যক্তিগত ২৭ রানে আউট ভারত অধিনায়ক। তাকে বোল্ড আউটের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। দুই বল পরই ফের সাকিব ম্যাজিক। ভারতের সেরা অস্ত্র কোহলিকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। লিটনের দারুণ ক্যাচে ফিরে যান কোহলি ৯ রান করে। দুর্দান্ত ক্যাচ লিটনের। হতাশই হলেন কোহলি।
৪৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতের শিবিরে কিছুটা আশার সঞ্চার করেন শ্রেয়াস আয়ার এবং কেএল রাহুল। তবে ভারতের দলীয় ৯২ রানে আবারও আঘাত হানে বাংলাদেশ। এবার আয়ারকে ফেরান এবাদত হোসেন। ব্যক্তিগত ২৪ রানে লিটনের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন রাহুল। কিছুক্ষণ তাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। কিন্তু আবারও সাকিবের বাধা। ওয়াশিংটনকে ১৯ রানে ফিরিয়ে আবারও রানের লাগাম টানেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
এই জুটি ভাঙার পর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। পরের দুই ওভারে আরও তিন উইকেট ফেলেন সাকিব-এবাদত। ৩৫ তম ওভারে দীপক চাহারকে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে নিজের নম্বর পাঁচ উইকেটটা তুলে নেন সাকিব।বিশাল বিপদের মুখেও সিরাজকে নিয়ে একটু একটু করে আগাতে চেষ্টা করছিলেন রাহুল। কিন্তু তাকে সেই সুযোগটা দিলেন না এবাদত। ভারতের শেষ আশা কে এল রাহুলকে ৭৩ রানে ফেরান ডানহাতি এ পেসার। শেষ উইকেটটাও নিয়েছেন তিনিই। তাতে ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা গিয়ে দাড়িয়েছে চারে।