রাতের মধ্যেই মানুষে ভরে গেছে মাঠ। ফরিদপুরসহ পাশ্ববর্তী ৫ জেলার নেতাকর্মীরা এ সমাবেশে যোগ দেবেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, তাদের এ গণসমাবেশে ভিড় শহরের রাজবাড়ি রাস্তার মোড় ছাড়িয়ে দুই কিলোমিটার দূরে পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। ইতোমধ্যেই গণসমাবেশের মূল মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। গণসমাবেশের মাইক লাগানো হচ্ছে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমাবেশের মাঠ ছাড়িয়ে ঢাকা-ফরিদপুর মহাসড়ক হয়ে শহর পর্যন্ত জনসমাগম ঘটবে।
ফরিদপুরের বিএনপির গণসমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুত। শুধুমাত্র অতিথিদের চেয়ার সাজালেই মঞ্চের পরিপূর্ণতা পাবে। শনিবার (১২ নভেম্বর) এখানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে দলের গণসমাবেশ। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে মঞ্চ প্রস্তুত দেখা গেছে। এদিন থেকেই শহরের উপকন্ঠে কোমরপুরের আব্দুল আজিজ ইন্সটিটিউটের মাঠে আসতে শুরু করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা।
কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ফরিদপুরের এ গণসমাবেশ স্মরণকালের ঐতিহাসিক সমাবেশ হিসেবে পরিগণিত হবে। বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বেসরকারি বাসের পাশাপাশি দু’দিন বিআরটিসি বাস বন্ধ করার কারণ বিএনপির গণসমাবেশকে বাধা দেওয়া। কিন্তু এতে বিএনপির গণসমাবেশে কোনো সমস্যা হবে না। কেননা বাধা পেলেই মানুষ বেশি বের হয়, বাঁধ ভাঙার জন্য। তাই মানুষ বিএনপিকে ভালোবেসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনসমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।
এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গণসমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামীকাল গণসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর।