শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন

২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে উৎসবমুখর যশোর

প্রতিনিধির / ৭৩ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২
২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে উৎসবমুখর যশোর
২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে উৎসবমুখর যশোর

২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোরে সর্বশেষ ঈদগাহ মাঠের জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ প্রায় ৫ বছর পর আবার তিনি যশোরে জনসভায় ভাষণ দেবেন। এরমধ্যে করোনাকালের তিন বছর তিনি কোথাও প্রকাশ্য কোন জনসভায় ভাষণ দেননি। সে হিসেবে প্রায় তিন বছর পর প্রধানমন্ত্রীর এ ধরণের প্রকাশ্য জনসভা যশোর থেকেই শুরু হচ্ছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখেও এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম জনসভা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতারা আশা করছেন, এ জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের আগামী নির্বাচনের বিষয়ে বার্তা দেবেন।

১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যশোর স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক জনসমুদ্রে ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঠিক ৫০ বছর পর ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সেই একই মাঠে ভাষণ দেবেন জাতির জনকের কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এই মাঠে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছিলেন যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে পুনর্গঠনে জাতিকে উজ্জীবিত করতে। আর অভূতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে দেশকে স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যমে আয়ের দেশে পরিণত করার পর সেই একই মাঠে বৃহস্পতিবার ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

এরকম নানা কারণে যশোরের এ জনসভাটি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হবে বলে তারা আশা করছেন। যশোরসহ আশপাশের জেলাগুলোর তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এসব প্রচারণায় বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তৃণমূলের মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে।বিশাল জমায়েতকে জায়গা দিতে যশোর স্টেডিয়ামের সাথে পাশের ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ মাঠকে একীভূত করা হয়েছে। এর সাথে আছে যশোর পৌর পার্কের জায়গাও। স্টেডিয়ামে তৈরি করা হচ্ছে নৌকার আদলের বিশাল মঞ্চ। ১২০ ফুট বাই ৪০ ফুট আকারের বিশাল নৌকার মাঝে ৮০ ফুট বাই ৪০ ফুট মঞ্চ, পেছনে থাকবে ৭৬ ফুট বাই ১০ ফুটের ব্যানার। পুরো গ্যালারি রাঙানো হয়েছে লাল-সবুজ রংয়ে।

জনসভা সফল করতে মূল দল ছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ইতিমধ্যেই যশোরে বিশেষ প্রস্তুতি সভা করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা যশোরে অবস্থান করে প্রস্তুতি কাজের তদারকিও করছেন। প্রস্তুতি সভা হচ্ছে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও। এদিকে যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় এবারই প্রথম ঐতিহ্যবাহী কলরেডি মাইকের ব্যবহার হতে যাচ্ছে। শহর জুড়ে কলরেডির দুই শতাধিক মাইক বসানো হয়েছে। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতেও বড় পর্দায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেখানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানান, জনসভা সফল করতে অভ্যর্থনা, মঞ্চ ও সাজসজ্জা, আপ্যায়ন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, প্রচার ও প্রকাশনা, শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবকসহ আটটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সমাবেশে আগতদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ৫ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে। শুধু স্টেডিয়াম নয়, যশোর শহরের কোথাও পা ফেলার জায়গা থাকবে না। তিনি বলেন, খুলনা বিভাগের সবকটি জেলা ও গোপালগঞ্জ থেকে নেতা-কর্মীরা আসবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ