শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫০ অপরাহ্ন

ঈদকে টার্গেট করে মসলার বাজারে অস্থিরতা

প্রতিনিধির / ১৬৭ বার
আপডেট : সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩
ঈদকে টার্গেট করে মসলার বাজারে অস্থিরতা
ঈদকে টার্গেট করে মসলার বাজারে অস্থিরতা

আসন্ন কোরবানির ঈদকে টার্গেট করে গরম মসলা এবং আদার বাজারে একটা অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তাঅধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, সারা দেশে মসলার বাজার, বিশেষ করে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই এবং ঢাকার মৌলভীবাজার, শ্যামবাজারের মসলার বাজার নজরদারিতে রেখেছি। এখানে আন্ডার ইনভয়েসিং হলে এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করব। আগামী এক সপ্তাহ এটা পর্যবেক্ষণ করব। তারপর ডিটেইলস রিপোর্ট সরকারের কাছে দেব।

গতকাল রবিবার রাজধানীর কাওরান বাজারে গরম মসলার মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভায় জাতীয় ভোক্তাঅধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল মসলার বাজারের বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মৌলভীবাজারের মসলা ব্যবসায়ীরা মূল্য তালিকা ঝোলান না। কোথা থেকে কত দামে এনেছেন তাও জানাতে চান না। এখানে আমাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে জানান, চট্টগ্রামে চায়না আদা বাজারে তেমন নেই।

আর বার্মিজ ও ভারতীয় আদা পাইকারিতে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা খুচরা বাজারে ২২০ থেকে ২৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সভায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি জানান, আদা-জিরাসহ আমদানিকৃত মসলার আমদানি মূল্যের সঙ্গে বিক্রয় মূল্যে বেশ অসংগতি রয়েছে যা অধিকতর পর্যালোচনার প্রয়োজন। ক্যাবের প্রতিনিধি বলেন, মসলার খুচরা ও পাইকারি বাজারে মূল্যের অসংগতি রয়েছে। এছাড়াও সুপার শপগুলোতে দেখা যায়, তারা পাইকারি বাজার থেকে মসলা সংগ্রহ না করে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে সংগ্রহ করছে। এতে একাধিক হাতবদলের মাধ্যমে মসলার মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও পার্বত্যাঞ্চলের আদা, চায়না আদা নামে বিক্রির মাধ্যমে ভোক্তাদের প্রতারণা করা হচ্ছে।

সভায় নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, শ্যামবাজার, কাওরান বাজার, শাহ আলী মার্কেটসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাড়া-মহল্লার দোকানে মসলার বাজারে শৃঙ্খলা নেই যা সামগ্রিকভাবে মসলার বাজারে প্রভাব ফেলছে। তাদের মতে, বন্দরে মসলা খালাসের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় লাগে যা মসলার মূল্য বৃদ্ধি করছে। তারা বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের ক্রয় রশিদ দেন না। এক্ষেত্রে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজার কঠোরভাবে তদারকির অনুরোধ জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ